এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান’ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যাদের থাকার বৈধ অনুমতি নেই এমন মানুষদের তাড়ানো ছাড়া তার প্রশাসনের কোন বিকল্প নেই। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এবার সাবেক পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তা টম হোমানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দিচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় রোববার (১০ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আইসিইর সাবেক পরিচালক ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অদম্য ব্যক্তি টম হোমান আমাদের জাতীয় সীমান্তের দায়িত্ব নিতে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দিচ্ছেন।’
ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে টম হোমানকে চিনি। আমাদের সীমান্তে পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণে তার চেয়ে ভালো আর কেউ নেই। অবৈধ অভিবাসীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্বে থাকবেন হোমান।’ ট্রাম্প প্রশাসনের এই দায়িত্ব পেয়ে হোমান অবৈধ অভিবাসীদের বিদায় করবেন এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের কথাবার্তাতেও এ ধরনের মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় বরাবরই অভিবাসনবিরোধী কড়া বক্তব্য দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। তার প্রচারণার অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল ব্যাপকসংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া। ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ১০ লাখ অভিবাসীকে বের করে দেয়া হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারণার সময়, ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ‘রক্তপিপাসু’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়া স্প্রিংফিল্ড, ওহিওতে হাইতিয়ান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পোষা প্রাণী খাওয়ার অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। এসব অভিবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি বলে প্রচারণার সময় দাবি করেন ট্রাম্প।